Monday, June 24, 2013

হিবা আম্মার নামে এক বোন লিখেছেন

হিবা আম্মার নামে এক বোন লিখেছেন

যখন আমার বাবা আমার মা কে প্রপোজ করেছিলেন তখন তিনি আম্মুর প্রতি মাহার হিসেবে সুরা আলে ইমরান উৎসর্গ করেছিলেন, সম্পূর্ণ সুরাটি তিনি হৃদয় ও মন দিয়ে মুখস্থ করেছিলেন।

যখন আমার বর আমাকে প্রপোজ করেছিলো, আমার বাবা তাঁকে বলেছিলেন যে মাহার হিসেবে তাঁকে কুরআন থেকে একটি সুরা মুখস্থ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত আমি আমার মাহার না পাবো ততক্ষণ বিয়ে হবে না।

আমাকে আমার মাহার হিসেবে একটি সুরা পছন্দ করতে বলা হল। আমি সুরা নুর পছন্দ করলাম। আমার কাছে মনে হয়েছে এই সুরাটিতে যতসব আইন আছে তা আমার হয়ে যে কারো জন্য মুখস্থ করা কঠিন ছিল।

আমাদের বিয়ের আগে, যখন আমরা নতুন সংসার বাঁধার জন্যে প্রস্তুতি নিতে ব্যস্ত ছিলাম। তখনও পুরো মাস ধরে আমার বরের হাত থেকে পবিত্র কুরআন মুহূর্তের জন্যেও বিচ্ছিন্ন হয়নি, কারণ সারা মাস ধরে সে সুরাটি মুখস্থ করছিলো।

আমাদের বিয়ের কিছুদিন আগে, সুরাটি মুখস্থ করা শেষে আমার বর বাবাকে সুরাটি শুনাতে আসল। বাবা তাকে বললেন, "যতবার তুমি সুরাটি ভুল করবে ততবারই তুমি আবার শুরু থেকে শুনানো শুরু করবে"

আমার বর তার ধীর ও চমৎকার সুরে সুরাটি তিলাওয়াত করতে শুরু করলো। এত সুন্দর তিলাওয়াত যা আমি জীবনেও কোনদিন ভুলবো না। ও যখন তিলাওয়াত করছিল তখন আম্মু এবং আমি একজন আরেকজনের দিকে তাকাচ্ছিলাম আর মুচকি হাসছিলাম, আমরা অপেক্ষা করছিলাম কখন আমার বর সুরাটি শুনাতে ভুল করবে আর আমরা আবারো তাঁর তিলাওয়াত প্রথম থেকে শুনতে পেরে সাওয়াবের সংখ্যা বাড়িয়ে নিবো।

কিন্তু আমার বর (আল্লাহ তাঁকে বারাকাহ দান করুন) সুরাটিকে এমন ভাবে হৃদয়ঙ্গম করেছিলো যে একটা আয়াতও ও ভুল করেনি।

যখন সে পুরা সুরাটি শুনানো শেষ করলো তখন আব্বু তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন এবং বললেন, "আজ তোমার কাছে আমি আমার মেয়েকে বিয়ে দিলাম, তুমি তোমার মাহার পরিশোধ করেছো এবং তোমার প্রতিজ্ঞাও রেখেছো।

ও আমাকে একটা পয়সাও আর্থিক মাহার দেয়নি, এবং আমরাও দশ হাজার ডলারের গহনা কিনিনাই। ও আমাকে আকদ হিসেবে আল্লাহর কালাম দিয়েই আমাকে সন্তুষ্ট করেছে। আমি এখন চিন্তা করছি আমার মেয়েটি তার নিজের মাহার হিসেবে কোন সুরাটি কে পছন্দ করবে।

No comments:

Post a Comment